নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই, হাইকোর্টের উপর ভরসা না করেই সুপ্রিম কোর্টের দরজায় রাজ্য বিজেপি। কথায় রাজ্য বিজেপি নেতারা বলেন, তাঁরা কোর্টে নয় ভোটে আছে কিন্তু বাস্তবের মাটিতে ভিন্ন চিত্র। কলকাতা পুরসভায় জনসমর্থন হীন বিজেপি বুঝেই গিয়েছে ১৪৪ টি ওয়ার্ডে লড়াই করতে হিমশিম খাবে তারা। এমনিতেই পুরভোট নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রার্থী অসন্তোষ রয়েছে। এছাড়াও একুশের নির্বাচনের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারে নি রাজ্য বিজেপি। তাই সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কলকাতা পুরসভার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘বায়না’ করছে রাজ্য বিজেপি। অথচ এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। রাজ্য পুলিশের তরফে কমিশনকে জানানো হয়েছে পুরভোটে নিরাপত্তা দিতে তারাই যথেষ্ট। তাতে সন্তুষ্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিজেপির বারবার কোর্টে গিয়ে নিজেদের হাস্যকর দলে পরিণত করেছে।
রাজ্য বিজেপির তরফে আগেই পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই বলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন। সেই সুরে সুর মিলিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে দেখে সংবিধানের পাঠ পড়ান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি কমিশনারের কাছে জানতে চান কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে পুরভোটে। ৪ তারিখের মধ্যে তথ্য চেয়েছেন ধনকড়। এদিকে কোনও দিক না ভেবেই সোজা দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছে গেরুয়া শিবির। এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী তো একুশের নির্বাচন কিংবা উপনির্বাচনে এল তাও তো তৃণমূল ২১৭। আসলে বিজেপি ভোটে নেই, জনসমর্থন নেই। তাই এসব করে বেড়াচ্ছে। আর রাজ্যপাল বিজেপির মদতেই কাজ করছে।’
কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়াণ সাংসদ সৌগত রায়। তিনি জানিয়েছেনম, ‘বিজেপি কোর্টে যেতেই পারে কিন্তু মানুষ ভোটবাক্সেই জবাব দেবে।’