এই মুহূর্তে




ইয়েমেনে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্সকে সর্বাত্মক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি বিদেশ মন্ত্রকের




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ব্যবসায়িক অংশীদার এক ইয়েমেনি নাগরিককে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা মাথায় ঝুলছে ইয়েমেন অভিবাসী কেরলের মেয়ে নিমিশা প্রিয়ার। গত ৩০ ডিসেম্বরই পেশায় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের সাজায় সিলমোহর দিয়েছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আলিমি। আর ওই সিলমোহরের পরে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যেই ফাঁসি হওয়ার কথা। মেয়ের সাজা রুখতে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে করুণ আর্জি জানিয়েছেন নিমিশার বাবা-মা। প্রতিটি মুহুর্ত তাঁদের কাছে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন, ‘নিমিশা প্রিয়াকে সব রকমের সাহায্য করা হবে। মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচাতে সব রকমের চেষ্টা চালানো হবে।’

কেন ইয়েমনে ফাঁসির সাজা পেতে হল ভারতীয় মেয়ে নিমিশা প্রিয়াকে? কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা পেশায় নার্স নিমিশা স্বামী টমি থমাস এবং মেয়েকে নিয়ে ইয়েমেনে থাকতেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে সেখানকার এক বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন নিমিশা। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী এবং ১১ বছরের কন্যা ভারতে ফিরে এলেও ইয়েমেনেই নিজের ক্লিনিক খোলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে থেকে যান তিনি। ওই বছরই ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আব্দো মাহদির সঙ্গে যোগাযোগ হয় নিমিশার। মাহদি তাঁকে নতুন ক্লিনিক খুলতে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন। কারণ, ইয়েমেনের আইন অনুযায়ী, সে দেশে নতুন ব্যবসা শুরু করতে গেলে দেশীয় অংশীদারের দরকার হয়। ২০১৫ সালে মাহদি ও নিমিশা মিলে নতুন ক্লিনিক খোলেন। এর পর থেকেই দু’জনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। অভিযোগ, নিমিশার টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে মাদকসেবনেও বাধ্য করেন মাহদি। বিরোধ বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে তাঁর পাসপোর্ট কেড়ে নেন মাহদি, যাতে কোনও ভাবেই নিমিশা ইয়েমেন ছাড়তে না-পারেন। আইনি কাগজপত্রে নিমিশাকে নিজের স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন মাহদি, ফলে নিমিশার প্রশাসনিক সাহায্য পাওয়া জটিল হয়ে পড়ে।

মাহদির প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনও লাভ হয়নি নিমিশার। মাসখানেক জেলে থাকার পরেই ছাড়া পেয়ে যান মাহদি। জেল থেকে বেরিয়ে নিমিশার জীবন আরও দুর্বিষহ করে তোলেন তিনি। ফলে ওই নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে অন্য পথ বেছে নেন নিমিশা। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মাহদিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন ওই নার্স। ওভারডোজের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। এর পর হানান নামে এক সহকর্মীর সঙ্গে মিলে মাহদির দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন। ওই মাসেই ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে যান নিমিশা। অংশীদার মাহদিকে হত্যার দায়ে ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। মৃত্যুদণ্ড পান নিমিশা। তার পর থেকে ৩৬ বছর বয়সি নিমিশাকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করেছে তার পরিবার। শেষ চেষ্টা হিসাবে ‘দিয়া’ (নিহতের পরিবারের নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক) দিয়ে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন নিমিশার মা প্রেমা কুমারী। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। গত বছর নিমিশার সাজা মকুবের শেষ আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টে। তার পরেই ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আলিমি গত ৩০ ডিসেম্বর নিমিশার মৃত্যুদণ্ডের সাজায় স্বাক্ষর করেছেন।

এদিন সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘নিমিশাকে বাঁচানোর জন্য সব রকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কী কাণ্ড! সাপের পর এবার ব্যাঙের প্রজাতির নামকরণ ‘টাইটানিক’ অভিনেতার নামে

চা-বিস্কুটের পেছনে খরচ ৮ লক্ষ ! বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য দেখলে চমকে উঠবেন

লাগাতার সমর্থন,ইজরায়েলে দুই হাজার পাউন্ডের বোমার চালান নিয়ে হাজির মার্কিন বিদেশমন্ত্রী!

ডিগ্রি পেলেই লক্ষ লক্ষ টাকার প্যাকেজ, কোন কোর্সে মিলবে এমন সুযোগ?

শৌচারগারে নার্সের রহস্যমৃত্যু , খুন নাকি আত্মহত্যা ! বাড়ছে জল্পনা

নয়দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় ১২ বছরের দত্তক পুত্রকে হারালেন এক নিঃসন্তান দম্পতি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর