নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজয়া দশমীতে গোয়ায় খুলল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। পানাজিতে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ইতিমধ্যেই দেশের পশ্চিমাঞ্চলের এই ছোট্ট রাজ্যে শক্তি বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাত ছেড়ে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন গোয়ার দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাতবারের কংগ্রেস সাংসদ Luizinho Faleiro। তাঁর সঙ্গেই তৃণমূলে এসেছিলেন গোয়ার বিভিন্ন স্তরের একঝাঁক নেতা। এবার সমুদ্রপারে নিজেদের শিকর আরও মজবুদ করে নিল তৃণমূল। বিজয়া দশমীর দিনই BJP-AAP ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন একঝাঁক নেতা।
গোয়ায় সুপরিকল্পিতভাবে নিজেদের ঘুঁটি সাজাচ্ছে তৃণমূল। লুইজিনহো ফালেইরোর মতো প্রবীণ কংগ্রেসি নেতা সহ একঝাঁক রাজনীতিবিদের তৃণমূলে যোগদান করার পরই গোয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এরপরই শুরু হয় যোগদানের হিড়িক। গোয়ায় কংগ্রেসকে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দিয়েছে তৃণমূল। তবে এবার আপ ও বিজেপিকেও টার্গেট করা হল।
ওই দুই দলের একাধিক নেতাও দশমীর দিন তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, আপ নেতা ও প্রাক্তন কংগ্রেস মুখপাত্র স্বাতী কেরকার এবং প্রাক্তন আপ নেতা জয়েশ শেঠ গোয়ানকার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল ছেড়ে যোগ দেন জোড়াফুল শিবিরে। অপরদিকে গোয়া বিজেপির মহিলা মোর্চার এক্সিকিউটিভ কমিটির প্রাক্তন সদস্য দীক্ষা তালবেনকারও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
আগামী বছরই ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভায় নির্বাচন হবে। এটাই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গোয়ায় সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে বাংলার শাসকদল। পুজোর পরই অভিষেক এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়া যেতে পারেন। তার আগেই গোয়ার রাজধানী পানাজিতে দলীয় কার্যালয় খুলে অনেকটাই এগিয়ে গেল তৃণমূল।