নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে রাজনৈতিক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করছে গোটা দেশকে। মাঝে মধ্যেই নেতাদের বেফাঁস মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় তাণ্ডব। যেমন দিন কয়েক আগেই তামিলনাড়ুর যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া উন্নয়নমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন সনাতন হিন্দুধর্ম নিয়ে একটি বেফাঁস মন্তব্য করে বসতেই দেশজুড়ে রীতিমতো শুরু হয়ে গিয়েছে তাণ্ডব। দেশের বিখ্যাত মুনী- ঋষিরা চটে বম্ব। প্রকাশ্যে এসে তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আসলে অভিনেতা উদয়নিধি দীক্ষিতদের জন্য সনাতন ধর্ম নির্মূলের আহ্বান জানিয়েছিলেন। যা রীতিমতো রাজনৈতিক বিতর্কে পরিণত হয়েছে। তবে অনেকেই তাঁকে সমর্থন করলেও দেশের একাধিক রাজনৈতিক নেতা এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন, সুপারস্টার কমল হাসান।
তিনি তাঁর টুইটারে জারি করা একটি দীর্ঘ বিবৃতিতে বলেছেন, “একটি সত্যিকারের গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হল নাগরিক দের দ্বিমত পোষণ করার অধিকার৷ তাই উদয়নিধিরও সনাতন ধর্ম সম্পর্কে তাঁর নিজের মতামত দিয়েছে, সবারই নিজের মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। আপনি যদি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত না হন, তাহলে সহিংসতার হুমকি বা আইনি ভয় দেখানোর কৌশল অবলম্বনের পরিবর্তে কোনও আলোচনায় বসুন। এতদিন তামিলনাড়ু বিতর্কের বিরুদ্ধে একটি নিরাপদ স্থান ছিল, এখনও তা অব্যাহত থাকবে।” তবে শুধু কমল হাসান নয়, উদয়নিধিকে সমর্থন জানিয়েছেন, তামিল সিনেমার অনেক তারকা। তাঁরা সকলেই উদয়কে প্রক্ষেপিত ঘৃণার বিরুদ্ধে রক্ষা করেজেন। তবে উদয়নিধি তাঁর বক্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা দিলেও অনেকেই তাঁর মন্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন।
উদয়নিধি তাঁর মন্তব্যের সঠিক ব্যখ্যা দিয়ে টুইটে লিখেছেন, “আমি কখনই সনাতন ধর্মের অনুসারী লোকদের গণহত্যার ডাক দিইনি। সনাতন ধর্ম এমন একটি নীতি যা জাতি ও ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করে। সনাতন ধর্মকে উৎপাটন করা মানবতা ও মানবিক সমতাকে সমুন্নত করে। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিটি কথা বলেছি। আমি সেই সব নিপীড়িত ও প্রান্তিকদের পক্ষে কথা বলেছি, যারা সনাতন ধর্মের কারণে ভুগছে। যারা সনাতন ধর্মের উপর গভীর গবেষণা করেছেন। তাঁরা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমি বিশ্বাস করি, মশার দ্বারা COVID-19, ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগের বিস্তারের মতো, সনাতন ধর্মও অনেক সামাজিক কুফলের জন্য দায়ী। আমি যেকোনও মোকাবিলা করতে প্রস্তুত, তা আইনের আদালতে হোক বা জনগণের আদালতে। ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধ করুন।”