নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঙালিদের শ্রেষ্ট উৎসব দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে কলকাতা পুরসভাতে বৈঠক করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। মহালয়ার আগে শহরের সমস্ত রাস্তা ঠিক করা হবে বলে জানান মেয়র। কলকাতা পৌরসংস্থার চেম্বার কাউন্সিলে আয়োজিত বৈঠকে এদিন কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, দমকল বিভাগের আধিকারিক, পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার, বিভাগীয় ডি জি , বোরো চেয়ারম্যান সহ কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আসন্ন দুর্গাপূজাকে(Durga Puja) কেন্দ্র করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সহ নাগরিক পরিষেবা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পূজো প্রস্তুতি নিয়ে একাধিক বিষয়ে নিয়ে মত বিনিময় হয় এই বৈঠকে।
এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান প্রত্যেক বছর যে বৈঠক হয়। সমস্ত বিভাগকে নিয়ে একটা বৈঠক হয়েছে। যাতে নির্বিঘ্নে পুজোর আয়োজন করা হয়। বৈঠকে রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা ঠিক করেছি যে সব রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ কলকাতা পৌর সংস্থা করবে। ১৫ দিনের মধ্যে খারাপ রাস্তা ঠিক করে চালু করে দিতে হবে। পুজোর আর হাতে সময় কম। তার জন্য সব বোরোকে গালিপিট পরিষ্কার করা জন্য বোরো গুলিকে বলে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিজ্ঞাপনের সময় অনেক বেআইনি ব্যানার বা বিজ্ঞাপন লাগায়। তাই সেটা রোধ করার জন্য পূজো উদ্যোক্তাদের বিজ্ঞাপনে যাতে নাম থাকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র(Mayor)। তিনি বলেন যে গাছের উপরে ব্যানার বা বিজ্ঞাপন না লাগানো হয়। সেটা দেখার জন্য বলা হয়েছে। পাশপাশি বিদ্যুৎ নিয়ে কোন বিদ্যুতের খুঁটি কার সেটা ঠিক করা হয়। প্রচুর ম্যানহোলে চুরি হচ্ছে। এটা আমরা পুলিশকে বলেছি। শহরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য। আমরা টাকা দিয়েছি। যাতে এই সমস্ত সিসিটিভি চলছে কি চলছে না তার একটা লাগাতার রিভিউ হয়।
সেটা বলা হচ্ছে। অনেক সময় গাড়ি নিয়ে এসে ম্যানহোল চুরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে এটা বিপদজনক হয়ে যাচ্ছে। তাই লালবাজারকে বলা হচ্ছে যে সিসিটিভি(CCTV) ক্যামেরা যাতে ঠিক থাকে সেটা বলা হয়েছে। তিনি এদিন বলেন জল জমার পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। আর কোথায় বেশি সময়ের জন্য জল জমছে না বলে জানালেন মেয়র। তিনি জানান যে কোর্টের নির্দেশে টাম লাইন তুলতে বারণ করা হয়েছে। তাই যেখানে কোনো দিন ট্রাম চলবে না ,সেই নির্দেশ হাই কোর্ট দিকে রাস্তা ভালো করে তৈরি করা যাবে বলে জানান। তিনি বলেন যে মহলায় আগে সমস্ত রাস্তা ঠিক করা হবে বলে জানান মেয়র।
এদিন ঝালদা নিয়ে তিনি বলেন যে, এটা একেবারে তৃণমূল স্তরে হয়েছে। অধীর বাবুর এলাকায় তিনি নিজেই নেই। আজকে সাম্প্রদায়িকতা বিরুদ্ধে তৃণমূল একমাত্র বিজেপিকে আটকাতে পারে। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে সেখানে বিজেপিকে হারিয়েছে তৃণমূল। অধীরবাবু বিজেপিকে আটকাতে পারছে না। আসলে অধীর বাবুরা হচ্ছে কাক ধরা। সবাই যদি ফিরে আসছে। তাহলে আমরা কি করব। যারা তৃণমূলের লোক তারা তৃণমূল ফিরে আসছে। অধীর বাবু সর্বহারা তার নিজের কিছুই নেই। এইসব বলে বিজেপির হাত শক্ত করছে অধীরবাবু।তিনি বলেন,লড়ছি আমরা তাই আমাদের ডাকছে। আর যারা সেটিং করছে তারা নিরাপদে আছে। আমরা লড়াই করছি।অভিষেক বন্দোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলেন মেয়র।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ডেঙ্গু নিয়ে তিনি বলেন আমরা নোটিশ করছি। আর কি করব তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যাবস্থা নেব। মেডিক্যালে কি করব তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যাবস্থা নেব। মেডিক্যাল কলেজ আমাদের টিম গিয়েছিল বলেই ধরা পড়েছে। যাদবপুরে দেবাশীষ কুমার গিয়েছিলেন বলে জানান এদিন মেয়র।