এই মুহূর্তে




‘অভিযোগ অস্বীকারের জায়গা নেই’, বীর দাসের সমালোচনা মেনে নিয়ে বিবৃতি এয়ার ইন্ডিয়ার




নিজস্ব প্রতিনিধি: কৌতুকাভিনেতা বীর দাসের এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে পোস্টের পর বিবৃতি জারি করে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নিল বিমান কর্তৃপক্ষ। তারা স্বীকার করেছে যে কৌতুকাভিনেতার স্ত্রীর জন্য হুইলচেয়ার সরবরাহের ক্ষেত্রে সত্যিই দেরি হয়েছিল।

বীর ১৪ এপ্রিল মুম্বাই থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লিগামী ফ্লাইট AI816-তে ছিলেন। মঙ্গলবার এয়ার ইন্ডিয়ার সমালোচনা করে বীর দাস অভিযোগের সুরে বলেন, ৫০,০০০ টাকা দেওয়ার পরেও তিনি একটি ভাঙা টেবিল, ভাঙা লেগ রেস্ট এবং রিক্লাইন্ড পজিশনে থাকা সিট পেয়েছেন।

এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে নিজেদের বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা অতিথিদের প্রতি সহানুভূতিশীল, বিশেষ করে তাঁদের যাতায়াত বিষয়ে। স্বীকার করি যে এই অভিজ্ঞতা প্রত্যাশার থেকে কম ছিল। অপারেটিং কেবিন ক্রুরা SOP অনুযায়ী বিমানে নির্ধারিত ‘অ্যাম্বুলিফ্ট’ ব্যবহার করে অতিথিকে বিমান থেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু হুইলচেয়ার সহায়তা প্রদানে দেরি হওয়া অস্বীকার করা যায় না। সেই সময়ে হুইলচেয়ার এবং কর্মীদের চাহিদা এতটাই বেশি চিল যে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল।” পাশাপাশি সমস্ত যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রা দেওয়ার জন্য এয়ার ইন্ডিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।

বীর দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমান সংস্থার প্রতি হতাশা প্রকাশ করে টুইট করার কয়েক ঘন্টা পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিবৃতি আসে। তিনি দাবি করেন যে স্ত্রীর জন্য হুইলচেয়ার বুকিং করার পরেও, তা পাওয়া যায়নি। কেবিন ক্রুরা এই বিষয়ে কোনও সাহায্য করেননি।

বীর দাস X হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “বীর দাস লেখেন, “প্রিয় এয়ার ইন্ডিয়া, দয়া করে আপনাদের হুইলচেয়ারের ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনুন। আমি বরাবর আপনাদের বিমানেরই অনুরাগী। আমি বিশ্বাস করি আমরা যখন মধ্যগগনে তখন আপনাদের কেবিল ক্রু-রাই সবচেয়ে ভাল পরিষেবা দেন। তাই এই পোস্টটি লিখতে আমার রীতিমতো কষ্ট হচ্ছে।”

এরপর তিনি সংযোজন করেন, “আমাদের জার্নিতে আমরা পেয়েছি ভাঙা টেবিল, ভাঙা লেগ রেস্ট, রিক্লাইন্ড সিট (হেলে থাকা আসন) যা কোনওভাবেই সম্পূর্ণ সোজা করা যায়নি। আমাদের বলা হয়েছিল যে ফ্লাইটটি নতুনভাবে সংস্কার করা হয়েছে। সর্বোপরি দু’ঘন্টা দেরিতে আমরা দিল্লিতে নামলাম। নামতে হয়েছিল সিঁড়ি দিয়েই। যেখানে আমাদের আগে থেকে বুক করা ছিল হুইলচেয়ার।”

এখানেই শেষ নয়। বর্তমান এয়ার ইন্ডিয়ার কঙ্কালসার চেহারাটা যেন আচমকা প্রকাশ্যে এনেছেন বীর দাস। তিনি লিখেছেন, “আমি চারটি ব্যাগ নিয়ে নামছিলাম। সেই সময় বিমানের সামনের দিকে থাকা বিমানসেবিকাকে আমার স্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য বলি। তিনি নীরব থাকেন। বুঝিয়ে দেন তিনি চেনেন না, তাই সাহায্যও করবেন না। সিঁড়িতে নামার সময় আমি এয়ার ইন্ডিয়ার একজন পুরুষ গ্রাউন্ড স্টাফকে আমাদের সাহায্য করতে বলি। তিনিও তাকান, তারপর কাঁধ ঝাঁকিয়ে উপেক্ষা করে তিনি চলে যান।” বীর দাস জানান তাঁর স্ত্রীর পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। সেই ভাঙা পা নিয়েই তাঁকে আসতে হয়েছে।

“নীচে বাসের কাছে এসে এক এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীকে আমি বলি কী হয়েছে? তিনি বলেন ‘স্যার, আমরা কী করব? দুঃখিত।’ এরপর আমরা টার্মিনালে পৌঁছাই, হুইলচেয়ার কর্মীদের জানানো হয় যে আমরা আগে থেকে একটি হুইলচেয়ার বুক করে রেখেছি। সর্বত্র হুইলচেয়ার রয়েছে। ফ্লাইট দেরি করেছে বলে শুধু কোনও কর্মী নেই।” অভিযোগ করেছেন কৌতুকাভিনেতা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ব্যতিক্রমী চাষের কাঁঠাল নদিয়ার কৃষকদের মুখে ফোটাচ্ছে চওড়া হাসি

খ্রিস্টানদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ‘জাট’ নির্মাতারা, সরিয়ে ফেললেন বিতর্কিত দৃশ্য

মেয়ের বাগদানে আল্লু-রশ্মিকার ‘সামি-সামি’ গানে কোমর দোলালেন সস্ত্রীক কেজরিওয়াল

বিয়ে না করেও ৪৯ বছরে মা হচ্ছেন আমিশা, বাবা কে?

লাল বেনারসি পড়ে কনে সেজে গাড়িতে চেপে দিলীপ ঘোষকে বিয়ে করতে এলেন রিঙ্কু

মদ্যপান করে স্কুলে গেলেন শিক্ষক, ছাত্রদের হাতেও তুলে দিলেন সুরা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর