নিজস্ব প্রতিনিধি: মাঝে মাঝে এলাকায় গৃহবধূর সঙ্গে দেখা যেত এক টোটোচালককে। দুজন পরস্পরের বন্ধু বলে এলাকাবাসী জানতেন। কিন্তু সেই বন্ধুত্বের সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে ভাড়া ঘরে নিয়ে গিয়ে তিন দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতা বধূর কাছ থেকে গয়না ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত টোটোচালককে গ্রফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে সোমবার আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড় এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিলেন অভিযুক্ত টোটোচালক। নিজের টোটোতে বধূকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতেন অভিযুক্ত। সম্প্রতি জামা কাপড় কিনবে বলে ওই গৃহবধূকে নিয়ে রাজারহাটে যায় অভিযুক্ত। সেখানে গিয়ে কোনও পোশাক না কিনে জামালপাড়ায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেই ঘরে বধূকে নিয়ে যায় টোটোচালক। সেই ঘরে তিন ধরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়। বধূর গয়নাও জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে অভিযুক্ত যুবক বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ।
অবশেষে যুবকের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে কোনওরকমে কাশীপুর থানায় এসে পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত টোটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে।