এই মুহূর্তে




দীপান্বিতা অমাবস্যায় বাংলার দুই বিখ্যাত মন্দিরে বিধি মেনেই চলছে কালীপুজো

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ দীপান্বিতা অমাবস্যা, এই পুণ্যলগ্নে সারা বাংলা জুড়ে পালন করা হচ্ছে কালীপুজো। মহাশক্তির আরাধনায় বিভিন্ন তীর্থস্থানে ঢল নেমেছে ভক্তদের। ভোর থেকেই সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গন। কালীঘাট হল সতীপীঠ। আজ সেখানে মা কালীকে মহালক্ষ্মীরুপে পুজো করা হবে। আজ দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হবে কালীঘাটে। অলক্ষ্মী বিদায় করে হয় শ্রীলক্ষ্মীর পুজো। লক্ষ্মী পুজোয় খই, মুড়কি, নাড়ু, লুচি, তরকারি দেওয়া হয়। সন্ধ্যের পুজো শেষ হয়ে গেলে রাতে আবার ভোগ নিবেদন করা হয়। সেই সময় দেওয়া হয় অন্নভোগ। সঙ্গে থাকে মাছ, পায়েসও। তবে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে কালীপুজো। ভক্তদের মাস্ক পরে ও দূরত্ববিধি বজায় রেখেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে ১৬৭ তম বর্ষে পদাপর্ন করেছে দক্ষিণেশ্বরের পুজো। মা ভবতারিণী আজ সাজবেন সাবেকি গয়নায়। মাকে পরানো হবে বেনারসিও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সাধারণ ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গন। দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্ধ হয়ে ফের খুলবে তিনটেয় মন্দির। তারপর থেকে সারা রাত খোলা থাকবে মন্দির। সকাল থেকেই কোভিড বিধি মেনে পুজো দিতে পারবেন দর্শনার্থীরা। কালীপুজো উপলক্ষ্যে আজ সারাদিন খোলা থাকবে দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গন। করোনা বিধি মেনেই ও মাস্ক পরে স্যানিটাইজেশন টানেল পেরিয়ে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে তবেই মন্দির চত্বরে প্রবেশ করা যাবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব-বিধি অনুসরণ করেই পুজো দেওয়ার লাইনে দাঁড়াতে পারবেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। এমনটাই জানানো হয়েছে মন্দিরের তরফে।

করোনার কথা মাথায় রেখে মন্দিরে বসে পুজো দেখা কিংবা ভোগ বিতরন বন্ধ থাকছে চলতি বছরে। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘চিরাচরিত প্রথা মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতির কারণেই বসে পুজো দেখার সুযোগ থাকছে না। এ জন্য আমরা দুঃখিত। তবে টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখা যাবে।’ ইতিমধ্যেই সকালে মঙ্গলরাতি দিয়ে মা ভবতারিণীর পুজো শুরু হয়েছে। দুপুরে মাকে পাঁচ রকম মাছ, পাঁচ রকম ভাজা, পাঁচ রকমের মিষ্টি দিয়ে অন্ন ভোগ দেওয়া হবে। রাতে তিন প্রহরে হবে ভবতারিণীর পুজো। চলবে স্তোত্রপাঠ।

দক্ষিণেশ্বরের পুজো উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা প্রদান করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। মন্দির চত্বরে নজরদারি চালাবে ৪২টি সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়াও রাজ্য প্রশাসন ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সাদা পোশাকের পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড, বিশেষ পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে গোটা মন্দির চত্বরে। দক্ষিণেশ্বরে রীতি রয়েছে রাতে চাঁদনি ঘাটে গঙ্গা জল ভরার। রাতে বান চলে যাওয়ার পর এই জল ভরা হয়। সেইমতো বিশেষ নিরাপত্তা রাখা হয়েছে ঘাটে। রয়েছে পর্যাপ্ত আলো ও রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মেয়ের ‘বিশেষ বন্ধু’ বাড়ি ঢুকে প্রতিমার ১০ ভরি গহনা নিয়ে পালাল যুবক, তারপর…

লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়ে গিয়েছে এই সতীপীঠ, এখানে ভ্রামরী রূপে পুজো পান দেবী কালিকা

মায়ের আশীষে রক্ষা পুত্রের, মান্না বাড়িতে বিরাজমান করুণাময়ী কালী

অমাবস্যার পরে কালী মায়ের মূর্তি নিয়ে দেওয়া হয় দৌড়, দেখতে হলে যেতে হবে মালদার এই জায়গায়

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে, প্রতিমার ছবি প্রকাশ্যে

১২ টাকায় শুরু পুজো, ৫০ বছর ধরে পাড়া-পড়শিদের রক্ষা করছেন ধূম্রকালী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ