নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পরপর তিনজন মডেল-অভিনেত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে একে একে মুখ খুলেছেন টলিপাড়ার বিভিন্ন তারকারা। কেন এই মৃত্যু? প্রথমে পল্লবী তারপর বিদিশা এবং তারপর মঞ্জুষা, প্রশ্ন তুলেছে। শুধুই কী কাজের অভাব বা মানসিক অবসাদ নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে আরও অন্য কারণ? তদন্ত চলছে। এবার একের পর এক নবাগতাদের মৃত্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
শুক্রবার মঞ্জুষা নিয়োগীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তা দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে। অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন আগে ‘কাঞ্চি’ নামক এক ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন। আর সেই ধারাবাহিকেই একটি সংক্ষিপ্ত চরিত্র ছিল মঞ্জুষা-এর। নার্সের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বেশ ভালোভাবেই সেই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মঞ্জুষা। তবে তাঁর শুটিং ছিল মাত্র দুদিন। ব্যাস। তারপর আর দেখা হয়নি কখনও অভিনেতার সঙ্গে তার। মঞ্জুষার এই কথা বলতে গিয়ে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় ভাগ করে নিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির গ্ল্যামারাস জগতের পিছনে লুকিয়ে থাকা কঠিন সত্যিটা। অভিনেতার মতে এমনটা রোজই ঘটে, ঘটে চলেছে। মুখ চেনা নয় বা অনামী শিল্পী বলে সেভাবে কেউ তাঁদের মনে রাখে না।
নবাগতাদের এমন পরিণতি যে কাম্য নয় তা যে মন ভারী করে দিচ্ছে সেই প্রসঙ্গই টেনে নিয়ে এসেছেন ভাস্বর। ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ে না। সবারই সংগ্রামের শেষ নেই। মফঃস্বল থেকে ছেলেমেয়েরা কলকাতায় এসে থাকছেন শুধু ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জমি শক্ত করবেন বলে। কিন্তু একটা সময় পর কাজের অভাব মানসিক অবসাদ তাঁদের ডুবিয়ে দিচ্ছে অন্ধকারে। শুধু এই তিনজনই না এর আগেও অভিনেতা এমন অনেককে দেখেছেন যারা নিজেদের স্টেডি লাইফস্টাইল ছেড়ে অভিনয়ে এসেছিলেন ভালো অভিনেতা হবেন বলে, কেউ আবার প্রযোজনা করতে গিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়েছেন। এসবের পর কেউ ফিরে জেতে পারেন নিজেদের আসল জীবনে কিন্তু যারা ফিরতে পারেন না তাঁরা ধীরে ধীরে ডুবে যান অবসাদে আর নিয়ে বসেন জীবনের চরম সিদ্ধান্ত।