এই মুহূর্তে




BJP’র জন্যই রামনবমী ঘিরে অশান্তির শুরু, অভিযোগ অভিষেকের

নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়ায়(Howrah) রামনবমী(Ramnabami) ঘিরে অশান্তির ঘটনায় তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) BJP-কে কাঠগড়ায় তুললেন। তাঁর দাবি, বাংলায় ২০১৬ সালে বিজেপি বাংলার বিধানসভায় মাত্র ৩টি আসন জিতেছিল। তারপর থেকেই বাংলার বুকে ধারাবাহিক ভাবে প্রতি বছর রামনবমী ঘিরে অশান্তির শুরু। তার আগে বাংলায় রামনবমীতে কোনও অশান্তি হতো না। বিজেপি’র তরফেই রীতিমত চক্রান্ত করে রামনবমীর দিনে এইসব অশান্তির ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। হাওড়ার ঘটনার ক্ষেত্রেও ১ মাস আগে থেকে চক্রান্ত করা হয়েছে। এমনকি এদিন হাওড়ার ঘটনার জন্য নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও(Amit Shah) দোষী ঠাউরেছেন অভিষেক। কার্যত তাঁর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’র অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এদিন সাঙ্গাবাদিক বৈঠক করে এভাবেই তোপ দেগেছেন অভিষেক।

আরও পড়ুন রাজ্যপালের কাছে দ্রুত রিপোর্ট তলব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

ঠিক কী বলেছেন অভিষেক, ‘রামনবমীর নামে শোভাযাত্রাতে গুণ্ডামি করা হয়েছে। এলাকার সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলওয়ালার ঠেলায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। উগ্রভাবে DJ বাজানো হয়েছে। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসেছেন। কই সে সময় তো এমন হত না। ২০১৪ আর ২০১৬ সালেও রামনবমীর এমন শোভাযাত্রা হয়নি। রাজ্যটাকে এরা পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে ফেলেছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য রাজ্যের সৌহাদ্য ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কোনও গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়নি। পুলিশের অনুমতি না মেনেই মিছিল করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই অশান্তি তৈরি করতে হাওড়ায় দু’টি মিছিল করে গুণ্ডামি করা হয়েছে।’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক রামনবমীর দিন মিছিল পালনের জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি চিঠি এবং পালটা পুলিশের গাইডলাইন নিয়ে একটি নির্দেশিকা দেখান। তা দেখিয়েই তিনি বলেন, ‘ভগবান রামচন্দ্র তো শক্তি-সংযম-ত্যাগের প্রতীক। তাঁর পুজোতে DJ বাজানো হচ্ছে কেন? কোমরে বন্দুর ঝুলিয়ে শোভাযাত্রা কেন করা হচ্ছে? এ কেমন রামনবমী পালিত হচ্ছে বাংলায়?’

আরও পড়ুন হাওড়ায় অশান্তির ঘটনায় পুলিশকে ক্লিনচিট অভিষেকের

অভিষেকের কথায়, ‘ধর্মের নামে গুণ্ডামি-মস্তানি করলে তাকে কখনও ধর্মপ্রাণ বলা যায় না। এরা বাংলাটাকে জল্লাদের উল্লাস মঞ্চে পরিণত করেছে। আপনাদের হাত জোর করে অনুরোধ করছি কোনওরকম প্ররোচনায় পা দেবেন না। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনও সম্প্রদায়ের উৎসব পালন করার অধিকার রয়েছে কিন্তু, এই ভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কোনও ধর্ম পালন হয় না। বাংলায় দুর্গাপুজো, দীপাবলি, বড়দিনের উৎসবে এমনটা দেখেছেন? ক্রোনোলজিটা বুঝুন। BJP-র নেতা দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। তারপর বাংলায় শ্যামবাজারের মোড় থেকে রামনবমী পালন নিয়ে বড় বড় কথা বললেন। আর তারপরই শোভাযাত্রার নামে হিংসা ছড়ানো হল। বোঝাই যাচ্ছে কার উসকানিতে বাংলায় এই নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে। যাদের উসকানিতে কিছু মানুষ এই কাজ করছেন তারা জেনে রাখুন এটা আমাদের হিন্দুত্ব নয়। আমি স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বে বিশ্বাস করি, যোগী আদিত্যনাথের নয়। জয় শ্রীরাম বলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শ্রীরাম কখনও এই জিনিস শিখিয়েছেন? আর ক্রিমিনালদের কোনও জাত হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ অশান্তি ছড়ানো সবাইকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গুণধর সিভিক : ধার নিয়ে চাইলে টাকা, দলবল নিয়ে মারধর করে পাওনাদারকে

SIR নিয়ে বিরোধীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে জনগণের মধ্যে, মন্তব্য ফিরহাদের

বন দফতরের জমি দখল করে রিসর্ট তৈরির অভিযোগ, চাঞ্চল্য জিতুশোলে

হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রোর সংখ্যা কমছে, প্রথম ট্রেনের সময়সূচিতেও পরিবর্তন

SIR: ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার রুম খোলার নির্দেশ মমতার

ডেঙ্গু দমনে জোর তৎপর রাজ্য, ৭৫০ কোটি খরচ স্বাস্থ্য দফতরের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ