এই মুহূর্তে




পুজোর মরশুম শেষ হতেই অযোধ্যা পাহাড়ে পর্যটকদের ঢল, শীত এখন দুরস্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি,অয্যোধা: পুজোর মরশুমে শেষ না হতে শীতের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গে। ছৌনাচ, ছৌমুখোশ, পলাশ, ঝুমুরের গান ।পুরুলিয়া জেলার প্রকৃতির হাওয়া নিতে পর্যটকদের(Tourist) ঢল। রাজ্যের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র গুলির মধ্যে অয্যোধা পাহাড় হল পর্যটকদের কাছে একটা সেরা ডিস্টিনেশন। শীত পা না রাখতে শীতের অনুভূতি নিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে অয্যোধা সুন্দরীতে। আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর পূর্বে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রে স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে দূর দুরন্ত থেকে আগত পর্যটক কেউ আসতে চাইত না ভয়ে কাঁপতো । রাস্তাঘাট একেবারেই ছিল জনশূন্য কোন একটা জনপক্ষের দেখা মিলতো না। পাহাড়ের রাস্তাঘাটে কোন মানুষের দেখা মিলতো না। জঙ্গলের ভিতর থেকে মাঝে মাঝে ভারী বুলেটের আওয়াজ শুনে আতঙ্কে কাটাত স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুর করে পুরুলিয়া জেলাবাসীর। এই অয্যোধা পাহাড় সুন্দরী পরিবেশে গভীর জঙ্গলে ছিল মাওবাদীদের গোপন আশ্রয় স্থল। অয্যোধা পাহাড়ের নাম শুনলেই পর্যটকদের তো দূরের কথা স্থানীয়রা পাহাড়ে আসতে চাইতেন না। দীর্ঘ প্রায় কয়েক বছর পার হওয়ার পরেই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরে রাজ্যের প্রত্যেকটা পর্যটন কেন্দ্র উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যেকটা পর্যটন কেন্দ্রকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রত্যেকটা পর্যটন কেন্দ্রে পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত থেকে শুরু করে শৌচালয়, প্রতীক্ষালয়, আলোর বন্দোবস্ত, স্বাস্থ্য শিবির, পুলিশ ফাঁড়ি, ভ্রমন গাইড শিবির এর সুবিধার্থে সমস্ত কিছুরই বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। এখন বর্তমানে পুরুলিয়ার অয্যোধা পাহাড় পর্যটন কেন্দ্রে বর্তমানে শীত কি বর্ষা শরৎ হেমন্ত সারা বছরেই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে অরন্য সুন্দরী পাহাড়ে। এখন খাতায় কলমে সবে পা দিয়েছি শীত। শীত পা না রাখতে পর্যটক প্রেমিকরা পা দিয়েছেন অযোধ্যা পাহাড়ে। পর্যটকদের দেখা মিলে পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড় এবং অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলির দেখা মিলে পুরুলিয়া অয্যোধা এবং অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পুরুলিয়ার শুধুমাত্র অয্যোধা পাহাড়ে(Ajoyodhya Hill)  নয়, জয়চন্ডী পাহাড়, পাঞ্চেত জলাধার, রঞ্জনডি জলাধার, গড় পঞ্চকোট সহ আরো বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় পর্যটকদের ভিড়ে জমিয়েছেন।এখনো হাতে ডিসেম্বর পড়তে এখনো সবে একমাস বাকি। তার পূর্বে পুরুলিয়ার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটক প্রেমিক প্রেমিকারা প্রশাসনিক সূত্রের খবর। এবছর দার্জিলিং কেউ হার মানাবে পুরুলিয়া অয্যোধা পাহাড় এমনটাই আশাবাদী পুরুলিয়ার জেলা প্রশাসন।

অয্যোধা পাহাড় থেকে এক বেসরকারি হোটেল ব্যবসায়ী সুজিত কুমার ও পার্থসারথি নামে দুই ব্যবসায়ী জানান, সরকারি থেকে বেসরকারী হোটেলে প্রায় ২-৩ মাস আগে থেকেই হোটেল বুকিং হয়ে গেছে হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান। তারা জানান পাহাড়ে আসা যাওয়া বাড়ছে বলে আমাদের হোটেল ব্যবসায়ীগুলো কিন্তু একটা জায়গা করে নিচ্ছে উন্নয়ন হচ্ছে অর্থনৈতিক হোটেলে। পাহাড়ের অনেক বেকার যুবক ও যুবতী হোটেল গুলোতে কাজ করতে পারছে।নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করতে পারছে। এই প্রসঙ্গে এছাড়া প্রতিদিন পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় কয়েক হাজার বাস ছোট গাড়িতে করে ঘুরতে আসছে। পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে তো বটেই ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, গোয়া  থেকে ভিন্ন রাজ্য শুরু করে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে এবং শীতের অনুভূতি কাটাচ্ছেন। নভেম্বর পড়তে এখনো কিন্তু আরো তিন দিন বাকি তার আগে থেকেই পাহাড়ের বুকে থাকা লৌহরিয়া শিব মন্দির, আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম, ময়ূর পাহাড়,মার্বেল লেক,পাখি পাহাড়, প্রত্যেকটা পর্যটকরা আসছে শুরু করে দিয়েছেন।

বন দফতরের সূত্রের খবর, এই সময় জঙ্গলগুলিতে হাতির আনাগোনা লেগে থেকে সারা বছরই ।তবে একটু শীতের শুরু থেকে হাতির(Elephant) আনাগোনা একটু বেশি হয় জঙ্গলমহলে। তাই পর্যটকরা যাতে কোনরকম কোন চিন্তায় না পড়ে ভয়ে না থাকে তার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে বন দফতরের কর্মীরা। একি সঙ্গে জঙ্গলের পরিবেশ যাতে দূষিত না হয়। সেই জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সংস্থার প্রচার চালাচ্ছে।অন্যদিকে , ভিড়ে ঠাসা থাকা খাওয়া দাওয়ার হোটেলগুলোতে। পর্যটকই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে পুরুলিয়ার প্রশাসন। এবছর মার্চ মাস পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষ পুরুলিয়া জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে আসেন। আর পুরুলিয়াতে পর্যটন আছে বলেই দিন দিন পুরুলিয়া অর্থনীতি আরো চাঙ্গা হয়ে উঠছে বলে জানান পুরুলিয়ার প্রশাসন।আসানসোল জেলা থেকে আগত রূপসা ব্যানার্জি নামে এক পর্যটক জানান, অযোধ্যা পাহাড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি আপ্লুত। সত্যি এখানকার রাস্তাঘাট, খুব সুন্দর। আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম সমস্যা হচ্ছ না। পর্যটকদের। অয্যোধা পাহাড়ে কড়া নিরাপত্তায় মুড়িয়ে ফেলেছে জেলা পুলিশ।আমরা নির্ভয়ে পাহাড়ের রাস্তাঘাটে ঘুরাফেরা করতে পারছি। পর্যটকদের এত সুন্দর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জানাই।একই সঙ্গে পম্পা ব্যানার্জি নামে এক পর্যটক জানান, ঘুরতে আসছেন ঠিক আছে, পর্যটন কেন্দ্রের কোন জায়গাতে এখানে সেখানে অযথা আবর্জনা ফেলবেন না। জঙ্গলের শান্ত পরিবেশ নষ্ট করবেন না। এমনই বার্তা দেন পর্যটকদের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গুণধর সিভিক : ধার নিয়ে চাইলে টাকা, দলবল নিয়ে মারধর করে পাওনাদারকে

SIR নিয়ে বিরোধীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে জনগণের মধ্যে, মন্তব্য ফিরহাদের

বন দফতরের জমি দখল করে রিসর্ট তৈরির অভিযোগ, চাঞ্চল্য জিতুশোলে

হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রোর সংখ্যা কমছে, প্রথম ট্রেনের সময়সূচিতেও পরিবর্তন

SIR: ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার রুম খোলার নির্দেশ মমতার

নিজের জন্য রাখা কেক খেয়ে ফেললেন স্বামী, রাগে ২৫ বছরের দাম্পত্য চুকিয়ে দিলেন মহিলা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ