এই মুহূর্তে




NRC’কে দায়ী করে আত্মঘাতী প্রৌঢ়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুঁসে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধি: পানিহাটির খড়দায় প্রৌঢ়ের মৃত্যু ঘিরে ছড়ালো উত্তেজনা। মৃত ব্যক্তির নাম প্রদীপ কর। বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ৫৭ বছর বয়সী প্রৌঢ়র। সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার কারণ হিসাবে দায়ী করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিক আইন NRC-কে। প্রদীপ করের সুইসাইড নোটের কারণ প্রকশ্যে আসার পর থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছে শাসক দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করে লিখেছেন দিল্লিতে বসে ভারতীয়দের বিদেশি আখ্যা দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

মৃতদেহের পাশে পড়ে ছিল একটি ডায়েরি। সেই ডাইরিতে লেখা ছিল NRC সম্পর্কিত বিষয়। ডায়েরির খাতার একদম নিচে লেখা আছে “NRC আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।প্রদীপ করের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে প্রবল চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিশ।

ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “৪ নম্বর মহাজ্যোতি নগর, পানিহাটি, খরদহর (৯ নং ওয়ার্ড) বাসিন্দা ৫৭ বছর বয়সী প্রদীপ কর আত্মঘাতী হয়েছেন। তিনি একটি নোট রেখে গেছেন যেখানে লেখা আছে, “আমার মৃত্যুর জন্য এনআরসি দায়ী।” বিজেপির ভয় ও বিভাজনের রাজনীতির এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কী হতে পারে?”

যখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকার NRC চালু করার কথা জানিয়েছে, তখন থেকেই সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন তিনি পশ্চিমবঙ্গে NRC করতে দেবেন না। তিনি লিখেছেন, “বছরের পর বছর ধরে বিজেপি কীভাবে এনআরসির হুমকি দিয়ে নিরীহ নাগরিকদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে, মিথ্যা রটনা, আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং ভোটের জন্য নিরাপত্তাহীনতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে তার প্রমাণ এই ঘটনা। ওরা সাংবিধানিক গণতন্ত্রকে একটি কঠোর আইনের-শাসনে পরিণত করেছে। মানুষকে নিজের অস্তিত্বের অধিকার নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতে বাধ্য করছে।”

প্রৌঢ়ের মৃত্যু আঘাত করেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তাই তাঁর আরও সংযোজন, “এই মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপির বিষাক্ত প্রচারণার প্রত্যক্ষ পরিণতি। যারা দিল্লিতে বসে জাতীয়তাবাদের প্রচার করে তারা সাধারণ ভারতীয়দের এমন হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছে যে সেই সব সাধারণ মানুষ নিজের দেশেই মারা যাচ্ছে, এই ভয়ে যে তাদের ‘বিদেশী’ ঘোষণা করা হবে।”

তারপরেই দৃঢ়চিত্তে লেখা বাংলার মানুষের জন্য তাঁর আশ্বাসবানী, “আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই নির্মম খেলা চিরতরে বন্ধ করার দাবী জানাচ্ছি। বাংলা কখনওই এনআরসির অনুমতি দেবে না, কাউকে আমাদের জনগণের মর্যাদা বা স্বত্ব কেড়ে নিতে দেবে না। আমাদের মাটি মা-মাটি-মানুষের, যারা ঘৃণাকেই অস্ত্র বানায় তাদের নয়। দিল্লির জমিদাররা এই কথাটি স্পষ্টভাবে শুনে নিন- বাংলা প্রতিরোধ করবে, বাংলা রক্ষা করবে এবং বাংলা জয়ী হবে।”

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গুণধর সিভিক : ধার নিয়ে চাইলে টাকা, দলবল নিয়ে মারধর করে পাওনাদারকে

SIR নিয়ে বিরোধীরা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে জনগণের মধ্যে, মন্তব্য ফিরহাদের

বন দফতরের জমি দখল করে রিসর্ট তৈরির অভিযোগ, চাঞ্চল্য জিতুশোলে

হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রোর সংখ্যা কমছে, প্রথম ট্রেনের সময়সূচিতেও পরিবর্তন

SIR: ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার রুম খোলার নির্দেশ মমতার

ডেঙ্গু দমনে জোর তৎপর রাজ্য, ৭৫০ কোটি খরচ স্বাস্থ্য দফতরের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ